রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় আপনি কি জানেন? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য কারণ আজকের আর্টিকেলটির আলোচনার মূল বিষয় হলো রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়।

কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা- কিসমিস এর উপকারিতা ও অপকারিতা- রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আরো আলোচনা করব কিসমিস ভিজে খাওয়ার উপকারিতা কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার নিয়ম শুকনো কিসমিস খেলে কি উপকার হয় এরকম  গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

.

ভুমিকা -  রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম

কিসমিস! কিসমিস! কিসমিস! আপনারা কি জানেন এই কিসমিস খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের কতগুলো রোগ সারতে পারে? হ্যাঁ বন্ধুরা আমি একদম সঠিক বলছি। আমাদের প্রত্যেকের ঘরে উপস্থিত এই কিসমিস খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের অনেক রকমের জটিলতা এবং অসুখ সারতে পারে যদি আমরা সঠিক নিয়মে কিসমিস খাই তবে।

এখন অনেকেই প্রশ্ন করবেন যে কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি? হ্যাঁ কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো যে প্রতিদিন সকালে আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খাওয়া এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে শুকনো কিসমিস খাওয়া এই দুটা সময় কিসমিস খাওয়ার উপযুক্ত সময়।

আপনি যদি সকালে কিসমিস খেতে চান তাহলে অবশ্যই কিসমিস আগের দিন রাতে ভালোভাবে ধুয়ে একা পানিতে ৭ থেকে ৮ টা কিসমিস ভিজিয়ে রাখবেন প্রায় ছয় ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পরে সকালে খালি পেটে কিসমিস এবং পারলে সাথে খেজুর অথবা কাঠ বাদাম খাবেন। আপনি যদি এই নিয়মে প্রতিদিন সকালে কিসমিস এবং কাঠবাদাম অথবা খেজুর খান তবে আপনার শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পাবে এবং নিত্যদিনের কাজ করার জন্য একটু অন্যরকম অনুভূতি পাবেন।

আবার আপনি যদি চান যে আপনি রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খাবেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে খাওয়ার দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরে কিসমিস খেতে হবে। খাবার দই থেকে তিন ঘণ্টা পরে এবং ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে আমাদের মস্তিষ্কে হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে যার কারণে আমাদের রাতের ঘুম ভালো হয়। পাশাপাশি কিসমিস উপস্থিত পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

আবার আমাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন যে না আমরা দিনের যেকোনো সময় কিসমিস খাব তবে তাদের জন্য বলব হ্যাঁ বন্ধুরা কিসমিস যেকোনো সময় আপনারা খেতে পারবেন কিন্তু সকালে অথবা রাতে খাওয়ার মত গুণাগুণ বা উপকার হবে না। তার মানে এটা না যে কিসমিস খেলে উপকার পাবেন না অবশ্যই উপকৃত হবেন কারণ কিসমিসে উপস্থিত বিভিন্ন প্রয়োজনও খনিজ উপাদান আপনার শরীরকে যে কোন না কোন ভাবে সাহায্য করবেই।

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক কেউ যদি প্রতিদিন তার খাদ্য তালিকায় 40 থেকে 50 গ্রাম কিসমিস খায় তবে তার শরীর থেকে বিভিন্ন রকমের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। অনেকেই মনে করেন যে কিসমিস শুধু রান্নার উপকরণ কিন্তু কিসমিস যে রান্নার পাশাপাশি ভিজিয়ে খেলে বা ঘুমানোর পূর্বে খেলেও অনেক উপকার হয় তাহলে চলুন জেনে নিই সে উপকারগুলো,

  • অনিদ্রা দূর করতেঃ প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পাঁচ থেকে ছয়টি কিসমিস যদি কেউ খায় তবে তার অনিদ্রা জনিত সমস্যা থেকে দ্রুত উপশম পাবে।
  • মানসিক সমস্যার সমাধানেঃ এছাড়াও কিশমিশে উপস্থিত বোরন মানসিক সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ দেয়।।
  • হাড়কে সুস্থ রাখতেঃ কিসমিসে উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড়ের ভঙ্গতা দূর করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃকিসমিস যেহেতু অধিক  ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে একে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • পাকস্থলের অম্লত্ব দূর করতেঃ পেটে এসিডিটির সমস্যা দূর করতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস যেমন খুব উপকারে ঠিক তেমনি ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলেও পাকস্থলের অম্লত্ব দূর হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতেঃ ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • দাঁতের যত্নেঃ দাঁতকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে দাঁতের গোড়া শক্ত থাকে এবং দাঁতের এনামেলের ক্ষতি থেকে বিরত থাকে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ ক্যান্সার আক্রমণ হওয়া থেকে বিরত রাখেই কিসমিস কিসমিস শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে কিসমিসে উপস্থিত এন্টি অক্সিজেন চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ওজোন বৃদ্ধি করতেঃ ওজন কমাতে কিসমিস এর ব্যবহার সব থেকে বেশি প্রচলিত কারণ রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খেলে কিসমিসে উপস্থিত ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভরা রাখে এবং ওজন কমায়।
  • অতিরিক্ত ওজন কমাতেঃ কিস প্রতিদিন রাতে কিসমিস খেলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ এবং চর্বি কমতে থাকে।
  • যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ এছাড়াও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা প্রয়োজন এর তুলনায় সব থেকে বেশি।

শুকনো কিসমিস খেলে কি হয়

শুকনো কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো,

  • কিসমিসে অধিক পরিমাণ ফাইবার উপস্থিত থাকা এটা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়া দ্রুত হতে ত্বরান্বিত করে।
  • শুকনো কিসমিসে অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে। অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম হাড়ের ভঙ্গুলো তা দূর করে এবং হারকে মজবুত করে।
  • এছাড়াও কিসমিসের অধিক পরিমাণ বোরন রয়েছে যেগুলো অস্টিওপরেসিস রোগকে প্রতিরোধ করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পটাশিয়াম খুব উপকারী আর কিসমিসে অধিক পরিমাণ পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • চোখের যত্নেও কিসমিসের ভূমিকা অপরিসীম কারণ কিসমিস অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত যেটা চোখের ছানি পড়া এবং দৃষ্টিশক্তির হ্রাসজনিত সমস্যা দূর করে।
  • এছাড়াও কারো চোখের যদি কম দেখে এবং অন্ধত্ব জনিত সমস্যা থাকে তারাও কিসমিস খেলে দ্রুত উপকার পেতে পারবেন।
  • কোষের ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ এর হাত থেকে রক্ষা করতে কিসমিস খুব উপকারী কারণ কিসমিস অধিক পরিমাণ ফাইবার উপস্থিত যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
  • রক্তে যদি অধিক পরিমাণ টক্সিক পদার্থ উপস্থিত থাকে তাহলে শরীরে বিভিন্ন রকমের উপসর্গ দেখা দেয় কিন্তু কিসমিস রক্তের টক্সিক পদার্থ ধ্বংস করে।
  • কাটা ছেঁড়া বা ঘা সারাতে কিসমিস খুব উপকারী কারণ কিসমিসে উপস্থিত পলিফেনালস এন্টি ব্যাকটেরিয়াল দ্রুত ঘা সারাতে ভূমিকা রাখে।
  • কেউ যদি তার ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন যে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই কিসমিস খেতে পারেন কারণ কিসমিসে উপস্থিত গ্লুকোজ এবং ফ্রূক্টজ শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে শরীরকে হেলদি করে তোলে।
  • কিসমিসে উপস্থিত ক্যালসিয়াম দাঁতকে মজবুত করে এবং তাদের এনামেলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
  • যে সকল ব্যক্তি অনিদ্রা জনিত সমস্যার সাথে ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে তাদের অনিদ্রার সমস্যা দূর হবে।
  •  কিসমিসে উপস্থিত এন্টি কোলেস্টেরল উপাদান রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কে কমায়।
  • কিসমিসে উপস্থিত আয়রন এবং লোহা উপাদান রক্তের অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং রক্তের লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • কিসমিসে উপস্থিত গ্লুকোজ এবং ফ্রূক্টজ শরীরকে দ্রুত শক্তি এবং এনার্জি সরবরাহ করে।

কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা গুলো হল,
  • উপস্থিত আয়রন এবং অধিক পরিমাণ লৌহ শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে।
  • রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেঃ রক্তে যখন হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায় তখন শরীরে বিভিন্ন রকমের উপসর্গ দেখা দেয় কিন্তু যদি প্রতিদিন সকালে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খাওয়া হয় তবে কিসমিসে উপস্থিত  লৌহ রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতেঃ অধিক পরিমাণ ফাইবার তো রয়েছে কিন্তু সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখার কারণে এটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে যেতে পাকস্থলীতে গিয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেঃ কিসমিসে উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন বি ভিটামিন সি রক্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেঃ কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তের উচ্চ চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  •  হার্ট সুস্থ রাখতেঃ কিসমিসে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তের প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে যার কারণে হার্টের সঠিক মত রক্ত সরবরাহ হয় যার কারণে হার্ট সুস্থ্য এবং স্বাভাবিক থাকে।
  • স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেঃ কিসমিস উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তের প্রবাহকের নিয়ন্ত্রণে রাখে যার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন এবং রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে যার কারণে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
  • শরীরে লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ আমরা আমাদের প্রতিদিনের খাবারের সাথে যে ধরনের তরকারি রান্না করে খায় তার মাধ্যমে আমাদের শরীরে অধিক পরিমাণ সোডিয়াম জমা হয় কিন্তু কিসমিস আমাদের শরীরের সোডিয়ামকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • শরীরকে শক্তি যোগাতেঃ শরীরের শক্তি বা এনার্জি যোগাতে কিশমিশে উপস্থিত ক্যালসিয়াম শর্করা গ্লুকোজ এবং ফ্রূকটোজ খুব উপকারী।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে কিসমিস উপস্থিত এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • কোলেস্টেরল কমাতেঃ কিসমিসের দ্রবণীয় ফাইবার লিভারের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমায়।
  • চোখের সমস্যা দূর করতেঃ কিসমিসে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট চোখের সানি পড়া চোখে ঝাপসা দেখা জনিত সমস্যা থেকে দ্রুত উপশম ঘটায়।
  • অনিদ্রা দূর করতেঃ ভেজানো কিসমিসে উপস্থিত ব্রণ অনিদ্রা জনিত সমস্যা থেকে দ্রুত উপশম ঘটায়।
  • ত্বকের যত্নেঃ কিস মিসে উপস্থিত ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জিংক ক্যারোটিয়ান ত্বককে পুষ্টি যোগায় যার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে এবং রোদে পরা ভাব থেকে মুক্ত থাকে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ কিসমিস ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে ইনসুলিন এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে কি হয়

কিসমিস হল আমাদের সকলের পরিচিত একটি খাবার যেটি আমরা রান্নার কাজে বেশি ব্যবহার করে থাকি। রান্নার কাজে কিসমিস ব্যবহার করার কারণে রান্নার স্বাদ  পায়। কিন্তু আমরা কি জানি যে এই কিসমিস সকালে যদি আমাকে হয় তবে আমাদের শরীর অনেক উপকার হবে?


প্রতিদিন সকালে কিসমিস খাওয়া হয় তবে এটি আমাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাশাপাশি সারাদিন কাজ করার জন্য কর্মঠ করে তোলে। কোন কাজ করতেও প্রয়োজন শরীর এনার্জি এবং মন-মানসিকতা ফুরফুর করে থাকা আর কিসমিস খেলে কিসমিসে উপস্থিত গ্লুকোজ এবং ফ্রুটস শরীরকে  কাজ করার জন্য সক্রিয় করে তোলে। 

সকালে খালি পেটে কিসমিস খেলে এটা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীতে উপস্থিত অম্লত্ব ভাব দূর করে। শরীর অতিরিক্ত মেয়ের চর্বি এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। শরীরের ক্লান্তি বোধ দুর্বলতা দূর করে। রোগা বা চিকনা শরীর থেকে রেহাই পেতে মূলত কিসমিস কেউ উপকারী নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার কারণে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।


প্রতিদিন সকালে খালি পেটে শুকনো কিসমিস খেলে উপরিউক্ত উপকারের সাথে সাথে আরো অনেক রকমের উপকার হয় যেমন রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি রক্তে ও উপস্থিতপদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় যার কারণে রক্ত থাকে শুদ্ধ এবং পরিষ্কার। রক্ত পরিষ্কার থাকার কারণে শরীরে এলার্জি বা ক্যান্সারের প্রকোপ প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।

কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতার কথা তো আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু আমরা তো জানি যে কোন কিছুর যখন এতগুলো উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। হ্যাঁ বন্ধুরা কিসমিস খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের যেমন অনেক উপকার হয় ঠিক তেমনি কিছু অপকারও হয়। তবে কিসমিসের ক্ষতি কর দিক খুব কম যদি নিয়ম মেনে কিসমিস খাওয়া হয় তবে ক্ষতির আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে।

তবুও আপনাদের জানানোর স্বার্থে বলছি যে অতিরিক্ত কিসমিস খেলে যদি কারো পেট ব্যথা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে তবে না খাওয়াই ভালো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে কিসমিস খাওয়ার কারণে এলার্জি দেখা দেয়। তাই বলব যে কিসমিস খাওয়ার কারণে যদি আপনাদের কারো এলার্জির জন্য তো বা চুলকানি হয় তবে কিসমিস থেকে বিরত থাকুন।

শেষ কথা। রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয়

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি কিসমিস সংক্রান্ত সকল নির্ভুল তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকৃত হবেন। আজকের আর্টিকেল পড়ে যদি আপনার উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আপনার পরিচিত বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।

আপনি যদি এরকম স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিয়মিত আমার স্বাগতম বিডি ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন। পরবর্তী আর্টিকেল পাবলিশ হওয়া পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্বাগতম বিডিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url