ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়-ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি

আমরা ফ্রিল্যান্সার হতে চাই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এবং ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি জানিনা। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এবং ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়-ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি

আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আরো জানতে পারবো ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সার হলে কি করতে হবে এবং কি কি প্রয়োজন তাই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়-ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি.

ফ্রিল্যান্সিং কি ?

ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হলো মুক্ত বা স্বাধীন পেশা। ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট কোন কোম্পানিতে চাকরি না করে কোন ব্যক্তির কাজ বা কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ চুক্তিবদ্ধের মাধ্যমে করাকে। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ঘরে বসে কাজ করার সুবিধে রয়েছে তার জন্য আপনাকে অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন সেই বিষয়ে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার ক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারবেন এবং সেই কাজ দক্ষতা অনুযায়ী করতে পারবেন।

মূল কথা হলো ফ্রিল্যান্সিং করা হলো ঘরে বসে নিজের ইচ্ছে মত কাজ করা যেখানে নেই কোন বসের প্যারা নেই কোন বকবকানি। আপনি আপনার নিজের ইচ্ছে মত এবং নিজের সময় মত কাজ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার মালিকের কাছে পৌঁছে দিলেই আপনার কাজ শেষ।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সার দের চাহিদা শুধু দেশব্যাপী তা নয় বরং বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সারের ডিমান্ড অনেক বেশি। একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অনেকগুলো বিষয়ে জানতে হবে এবং কাজ শিখতে হবে।

বর্তমান সময়ে অনেকে ফ্রিল্যান্সার হতে চান এবং টাকা ইনকাম করতে চান। আপনিও যদি এরকম ব্যক্তির মধ্যে একজন হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা বেশি। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার প্রথম প্রধান কাজ হল ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল তথ্য জানা এবং কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ওভক্তি। 

ফ্রিল্যান্সিংস সেক্টরে ২০২৪ সালে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেই সব গোল কাজগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নেওয়া যাক,

  • কন্টেন্ট রাইটিংঃ ২০২৪ সালে এসে যে সকল ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ডিমান্ডেবল কাজ হল কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন রাইটিং বিষয়ে যদি আপনি দক্ষতা অর্জন করেন তাহলে আপনি বিভিন্ন রকমের ব্লগ পোস্ট, ওয়েব পোস্ট, ইমেল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মার্কেটিং করতে পারবেন।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে সকল কাজগুলো অধিক পরিমাণ করা হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ডিজাইন করতে পারবেন,লোগো তৈরি করতে পারবেন ইত্যাদি কাজ করার মাধ্যমে আপনি fiverr,upwork থেকে ভালো পরিমাণ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বর্তমান সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে দক্ষ হয়ে কাজ করতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার ফলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে সুন্দর করে ডিজাইন করতে পারবেন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ ও করতে পারবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ডিমান্ডেবল কাজ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
  • ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সারের জন্য খুব জনপ্রিয় একটি কাজ। এই কাজ করার ফলে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে অর্ডার পাবেন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যে সকল কাজের চাহিদা বেশি তার মধ্যে প্রধান কাজ হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্র্যান্ড কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচারণা করা।
  • Cartoon Animation: বর্তমান সময় যেহেতু ইন্টারনেট ব্যবহারের জেনারেশন তাই কার্টুন এর অ্যানিমেশন খুব জনপ্রিয় একটি কাজ। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই কার্টুন এনিমেশন শিখতে পারেন।
  • ট্রান্সলেশ্নঃ ট্রান্সলেশন কাজটি হলো মূলত কোন কিছু লেখা থাকবে সেটা  দেখে দেখে টাইপ করা। আর এই টাইপিং করার কাজটি হল ট্রান্সলেশন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এ ট্রান্সলেশন এর কাজের রয়েছে ব্যাপক পরিমাণ চাহিদা।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে আপনি অফিসে না গিয়ে নিজের বাড়িতে বসে থেকে নিজের ইচ্ছা মত সময় অনুযায়ী কাজ করে দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এইভাবে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ে বা কেউ চাইলে অনেক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পাররেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং হল বিভিন্ন ব্র্যান্ড, প্রতিষ্ঠান বা প্রোডাক্টের প্রচারণা করা। মোট কথাই বলতে গেলে মার্কেটিং হল কোন কিছুর প্রচারণা করাকে বোঝায়। এই মার্কেটিং সেক্টরে রয়েছে বিভিন্ন রকমের কাজ। ডিজিটাল মার্কেটিং এ যেমন অনেকগুলো কাজের সেক্টর রয়েছে সেরকম এর মধ্যেও কিছু কিছু সেক্টর রয়েছে যেগুলো ব্যাপক জনপ্রিয় এবং চাহিদা ও অনেক বেশি।

তাহলে চলুন জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন কাজের চাহিদা বর্তমানে বেশি,

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এক্সপার্ট (SEO)
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
  • সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
  • কন্টেন্ট রাইটার (Content Writer)
  • গেস্ট ব্লগিং (Guest Bloging)
  • ইউটিউব মার্কেটিং(YouTube Marketing)
  • ফেসবুক মার্কেটিং (FaceBook Marketing)
  • এন্ডসেন্স সেটআপ (Adsence Setup)
  • এসএমএস মার্কেটিং (SMS Marketing)
  • বিভিন্ন রকমের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(Social Media Marketing)
  • ট্রান্সলেশন(Translation)
  • ডাটা এন্ট্রি(Data Entry)
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট(Web Development)
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন(Graphics Design)
  • লোগো ডিজাইন(Logo Design)
  • ভিডিও এডিটিং(Vedio Marketing)
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট(Vietual Assitannt)
  • ইমেইল মার্কেটিং(E-mail Marketing)
উপরে বর্ণিত কাজগুলো বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সব থেকে চাহিদা বেশি এবং এই কাজগুলো করার ফলে আপনি অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ভবিষ্যতে যে কাজের চাহিদা বেশি হবে সেটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে হল কোন কিছুর প্রচারণা কে বোঝায়। ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং হলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম পেশা।

ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এর কারণে আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন বড় বড় ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারি। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবথেকে বেশি চাহিদা হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর।

তাই অনেকের প্রশ্ন যে, ফ্রিল্যান্সিং শিখলে ভবিষ্যতে সে দক্ষতা কোন কাজে লাগবে কিনা অথবা ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের চাহিদা কেমন হবে তাদের উত্তরে বলব যে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ ভবিষ্যতে বাড়বে কমবে না।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের সহজ

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা মনে মনে পরিকল্পনা করছে যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে তাদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলবে। তাই যে সকল ব্যক্তি বা আমার পাঠক বন্ধুগণ ভাবছেন যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন তাদের অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে জেনে রাখতে হবে যে কোন কাজ নতুনদের জন্য করতে সহজ হবে।

কোন ব্যক্তি যদি প্রথমে নতুন ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই তাকে একটু কম পরিশ্রমের কাজ দিয়ে শেখা উচিত। যদি সে প্রথমে অধিক জটিল এবং কঠিন কাজগুলো শিখতে যায় তবে তার কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ চলে যেতে পারে তাই আপনাকে প্রথমেই সহজ কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নতুনদের জন্য সহজ কাজ হলো আর্টিকেল রাইটিং, গেস্ট পোস্ট ব্লগিং, লোগো ডিজাইন,কোডিং, এসইও এক্সপার্টস ইত্যাদি কাজ গুলো দিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং যাত্রা শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে নিজেকে দক্ষ করে তুলবেন। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে প্রথমেই যে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে সেরকম কোন ধরা বাধা নেই। আপনার কাছে যদি বর্তমানে উপস্থিত ল্যাপটপ বা কম্পিউটার না থাকে তাহলে আপনি ফোন দিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে বর্তমানে অনেক কাজ করা যায় যেমন ফ্রিল্যান্সার ডটকম, upwork.com ফাইবার ডট কম ইত্যাদি ওয়েবসাইটে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করা হয়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার একটি সেবা হল আপনি মোবাইল সব জায়গায় ক্যারি করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে এখন বর্তমানে বিভিন্ন রকমের কাজ যেমন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল রাইটিং, গ্রাহক পরিষেবা একাউন্টিং এর বিভিন্ন কাজ, এসইও, ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি সাইট যেমন upwork.com সিলেক্ট করতে হবে।

যখন আপনার একটি নির্দিষ্ট সাইট সিলেক্ট করা হয়ে গেছে তখন আপনাকে সেই সাইট ডাউনলোড করে রাখতে হবে এবংসেখানে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে বায়ারদের ডিমান্ড অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাই আপনার যদি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ না থেকে থাকে তাহলে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নাই মোবাইল দিয়েও আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যরিয়ার শুরু করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন

যে সকল ব্যক্তির নতুন ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য চিন্তা করছেন তাদের মনে অবশ্যই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে, আমি যে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব আমার প্রথমে ঠিকই প্রয়োজন? তো বন্ধুরা আপনারা যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বা ভালোবাসার রাখতে হবে।

এটাতো গেল যে আপনার মনের জোর বা নিজের ইচ্ছা শক্তি। কিন্তু এখন কথা হলো যে যন্ত্রপাতির মধ্যে কি কি লাগবে তাই তো? ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার ডেক্সটপ নয়তো ল্যাপটপ থাকা লাগবে, ইন্টারনেট কানেকশন থাকা লাগবে, আর যে কোন আইডিতে ভর্তি হয়ে কোন টিচারের গাইডলাইনে থাকা লাগবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়?

ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা আমাদের দেশে বর্তমানে বৃদ্ধি পেতেই রয়েছে। বর্তমানের ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হলো ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা। এখন প্রশ্ন হলো যে আমারা ফ্রিল্যান্সিং শিখব কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে করব? আপনার মনেও যদি এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় তাহলে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করার জন্য অনেক রকমের সাইড রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোম্পানির প্রোডাক্টের প্রচারণা করতে হবে এবং জনগণের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দেয়ার একটি মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং যেটাকে বলে এডসেন্স।

আবার অনেকে মনে করেন যে আমি সার্চ অপটিমাইজেশন এর কাজ বা এসইও (SEO)করব। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি ওয়েবসাইটকে ভালো প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানোর জন্য বিভিন্ন রকমের কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে গেলে অনেকের লোগো ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। লোগো ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইন হল আপনি কোন বায়ার কে তার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন লোগো তৈরি করে দিবেন যার বিনিময়ে আপনি অর্থ পাবেন। এ লোগো তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রোগ্রামিং এবং কোডিং এর বিষয়ে ধারণা থাকা লাগবে।

আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন রকমের প্লাটফর্ম যেমন fiverr.com,Upwork.com,Frelancer.com  কাজ করে একটি মোটামুটি  অর্থ উপার্জন করবেন তখন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সিপিএ মার্কেটিং করতে পারবেন। আপনি যদি একবার কোন ওয়েবসাইটকে রান করাতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে ওখান থেকেই আপনি মার্কেটিং করতে পারবেন।

Facebook মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি আপনার নির্দিষ্ট কোন পণ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ফেসবুকের মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে এখান থেকেও আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। ঠিক সেরকম ভাবেই ফেসবুকের মত instagram, twitter , pinterest , ইত্যাদি প্ল্যাটফর্ম মার্কেটিং করতে পারবেন।

শেষ কথা

আজকের এয়ার টিকেটটি তে আমি আপনাদেরকে বিশেষ করে যে সকল ব্যক্তি মনে মনে চিন্তাধারা রেখেছেন যে ফ্রিল্যান্সার হবেন তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে লিখেছি। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের কারো জানানোর চেষ্টা করেছি যে কিভাবে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কেয়ার শুরু করবেন এবং কি কি কাজ করলে কিভাবে কাজ করলে দ্রুত সফল হতে পারবেন।

আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করে দিবেন এবং নিয়মিত ওয়েবসাইটটা ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্বাগতম বিডিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url